কক্সবাজারে নিজ বাসায় স্বামী-স্ত্রী ও দুই মেয়ের লাশ
কক্সবাজার শহরের গোলদীঘির পাড় এলাকার একটি বাসা থেকে পুলিশ বুধবার সন্ধ্যায় স্বামী-স্ত্রী ও তাঁদের দুই শিশুকন্যার লাশ উদ্ধার করেছে বলে জানা যায়। এর মধ্যে স্বামীর লাশ গলায় ফাঁস লাগানো ছিল বলে জানিয়েছে সদর থানার ওসি রণজিত কুমার বড়ুয়া।
নিহতরা হলেন ওই এলাকার সুমন চৌধুরী (৩৩), তার স্ত্রী বেবী চৌধুরী (২৮) এবং তাদের মেয়ে অবন্তিকা চৌধুরী (৫) ও জ্যোতিকা চৌধুরী (৩)।
এদের মধ্যে সুমনের লাশ ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় এবং তার স্ত্রী ও দুই মেয়ের লাশ খাটে শোয়া অবস্থায় ছিল বলে জানিয়েছে পুলিশ।
ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, ওই বাসায় পৃথকভাবে বসবাস করেন সুমন চৌধুরীসহ তাঁর অপর চার ভাই। সুমনের বড়ভাই আমীর চৌধুরী (৪৫) বলেন, প্রতিদিনের মতো বুধবার বেলা দুইটার দিকে সুমন (৩৩), তাঁর স্ত্রী বেবী চৌধুরী (২৮), মেয়ে অবন্তিকা চৌধুরী (৫) ও জ্যোতি চৌধুরী (৩) দুপুরের খাবার খেয়ে ঘুমোতে যায়। কিন্তু বিকেল পাঁচটার পরও তাঁরা ঘুম থেকে না ওঠায় তাঁদের দরজায় টোকা দেন তিনি। এরপরও সাড়াশব্দ না পেয়ে তিনি স্থানীয় পৌর কাউন্সিলর রাজ বিহারী দাশকে খবর দেন। সন্ধ্যায় রাজ বিহারী ঘটনাস্থলে পৌঁছে দেখেন দরজা-জানালা বন্ধ। ভেতরে কারও সাড়াশব্দ নেই। এরপর তিনি পুলিশকে খবর দেন। সন্ধ্যা সোয়া সাতটার দিকে কক্সবাজার সদর মডেল থানার ওসি রণজিৎ কুমার বড়ুয়া ঘটনাস্থলে গিয়ে দরজা ভেঙে চারজনের মৃতদেহ উদ্ধার করেন।
আরেক প্রতিবেশী দুলাল দাশ বলেন, “স্বামী ও স্ত্রীর মধ্যে কোনো দিন মনোমালিন্য বা ঝগড়া-ঝাটি দেখিনি। হাসি-খুশিতেই দেখেছি তাদের।
তিনি সাংবাদিকদের বলেন, “প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে স্ত্রী ও সন্তানদের শ্বাসরোধে হত্যার পর গৃহকর্তা আত্মহত্যা করেছেন। তারপরও পুলিশ তদন্ত করে মৃত্যুর রহস্য উদঘাটনে কাজ করছে।
লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
No comments:
Post a Comment